বিশ্বকাপ কাঁপানো শাহীনের দুঃসময়ে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন মোবাইল ব্যবসায়ী ফিরোজ

11th February, 2020, 1:57 PM

দিনমজুর সাহাদত আলী ও মা সাথিনা বেগমের একমাত্র ছেলে শাহীন আলম। বড় দুই বোন শাহাজাদী ও শাহনাজ পারভীনের বিয়ে হয়েছে আগেই। দুজনের স্বামীই নছিমনচালক। অভাবের সংসার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। টাকার অভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি শাহীন। অতিকষ্টে ভর্তি হয় বিকেএসপিতে। সেখান থেকেই এসএসসি পাস করে।


যুব বিশ্বকাপ কাঁপানো শাহীনের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা পাইকপাড়ায়। সেখানে গিয়ে কথা হয় তার মা সাথিনা বেগমের সঙ্গে। হাইমাউ করে কেঁদে বললেন, ‘ছোটবেলা থেকে তার ক্রিকেট খেলায় ছিল বেশ ঝোঁক। কিন্তু ছেলেটাকে একজোড়া জুতা কিনে দিতে পারিনি। উল্টা বকাঝকা করে বলেছিলাম আমাদের মতো গরিবের জন্য খেলাধুলা নয়। সে আজ বিশ্ব জয় করেছে জেনে খুশি হলাম।’

বাবা সাহাদত বললেন, ‘ছেলের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।’ এতটুকু বলেই কেঁদে ফেললেন সাহাদত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামের মোবাইল ব্যবসায়ী ফিরোজ টেলিকমের মালিক ফিরোজ ক্রিকেটার শাহীন আলমের দুঃসময়ে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। স্মৃতিচারণ করে তিনি বললেন, ‘শাহীনের একবার জ্বর হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সামর্থ্য ছিল না। তার খেলার প্রতিভা দেখে আমিই সব দায়িত্ব নিয়েছি তখন। তার জন্য আমি দোয়া করি।’


কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু মো. সাঈদ হাসান লোবান জানান, ২০১৭ সালে শাহীন আলম বিকেএসপিতে ভর্তি হয়। পরে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলতে শ্রীলংকায় যায়। সেখান থেকে পরে এবারের যুব বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়।

WhatsApp Google Map

Safety and Abuse Reporting

Thanks for being awesome!

We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!

Have a great day!

Are you sure you want to report abuse against this website?

Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support